শেরপুর সদরের চরমোচারিয়া মাঝপাড়া এলাকা থেকে সন্দেহভাজন মানব পাচারকারী চক্রের নারী সদস্য জরিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় কামারচরে জরিনার বাবার বাড়ি থেকে মালা নামে এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়ে। রোববার (১৮ জুলাই) বিকেলে তাকে আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক মাসে আগে কিশোরী মালাকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর ওই কিশোরীর বাবা হাসেম আলী সদর থানায় জিডি করলেও মেয়ের কোন সন্ধান পাননি। আজ সকালে জরিনার বাবার বাড়িতে স্থানীয়রা কিশোরীকে দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জরিনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জরিনা আক্তার বলেন, ‘এক মাস আগে মালা নিজ ইচ্ছায় আমার কাছে আসে। অনেকবার যাইতে বললেও মালা যায়নি, এজন্য আমি তাকে আমার বাবার বাড়িতে রেখে দিয়েছিলাম।’ উদ্ধার হওয়া কিশোরী মালা বলেন, ‘আমাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে আসে। পরে ভাতের সাথে ঔষধ খাইয়ে আমাকে অজ্ঞান করে রাখে। পরে আমাকে পাচার করার জন্য মাঝে মাঝে মানুষ নিয়ে আসে। আমি চিৎকার করলে ও তাদের কামড় দিলে তারা চলে যায়। আমাকে এক মাস যাবত ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’ শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহম্মদ বলেন, অভিযুক্ত নারী ভিকটিমের দূর সম্পর্কের দাদী। পুরো ঘটনা জানার জন্য আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরে আপনাদের জানানো হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।